নিহত সাত সেনা ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি সাঁজোয়া যুদ্ধযানে (পুমা সিইভি) পুঁতে রাখা বিস্ফোরকের আঘাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাত সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামাস যোদ্ধারা সড়কে বোমা পুঁতে রেখেছিল, যা সিইভি-র নিচে বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই যানটিতে আগুন ধরে যায় এবং চেষ্টা করেও ভেতরে থাকা সেনাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাতজন। মঙ্গলবার সংঘটিত এই হামলাকে সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে আইডিএফের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও মর্মান্তিক দিন হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
নিহত সাত সেনা হলেন—লেফটেন্যান্ট মাতান শাই ইয়াশিনোভস্কি (২১), স্টাফ সার্জেন্ট রোনেল বেন-মোশে (২০), স্টাফ সার্জেন্ট নিভ রাদিয়া (২০), সার্জেন্ট রোনেন শাপিরো (১৯), সার্জেন্ট শাহার মানোভ (২১), সার্জেন্ট মায়ান বারুচ পার্লস্টেইন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট অ্যালোন ডেভিডভ (২১), তাঁরা সকলেই আইডিএফের ৬০৫তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।
একইদিন খান ইউনিসের অন্য এক অভিযানে আইডিএফের একটি ডি৯ বুলডোজার আরপিজি হামলার শিকার হয়। এতে আরও দুই সেনা আহত হন।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাস। ইসরায়েলি সামরিক সূত্র বলছে, গাজায় স্থল অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আইডিএফের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪৪০-এ দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “দক্ষিণ গাজায় আমাদের জিম্মিদের উদ্ধারে ও হামাসকে পরাস্ত করার যুদ্ধে আমাদের বীর সেনারা শহীদ হয়েছেন। আমরা জাতি হিসেবে শোকাহত।"
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বার্তায় বলেন, “আমাদের সৈন্যরা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছে। আমরা তাদের আত্মত্যাগ কখনো ভুলব না।”
রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জোগ টুইটারে লেখেন, “গাজার যুদ্ধ দৃশ্য কঠিন, বোঝা অসহনীয়। আমরা শহীদদের পরিবারকে আলিঙ্গন করি এবং সকল আহত সেনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এখনো হামাসের কাছে প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে বহুজনের ভাগ্য অনিশ্চিত।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলমান যুদ্ধে ৫৬,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ, যদিও এই সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা জানুয়ারি পর্যন্ত ২০,০০০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং ৭ অক্টোবরের হামলার সময় আরও ১,৬০০ সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতে সচেষ্ট; তবে হামাস ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও মসজিদের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইব্রাহিম শরীফ মুন্না
বার্তা সম্পাদক
মাহবুব আলম সৈকত
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
Email: news@prothomdesh24.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || প্রথম দেশ
Develop by _ DigitalSolutions.Ltd