ঢাকা, ০৭ জুলাই, ২০২৫
ProthomDesh24

সরেজমিন ঢাকা উত্তর

৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঝাঁক

৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঝাঁক

মশার ঝাঁক

Publish : 03:23 AM, 24 June 2025.
নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর মাদানী অ্যাভিনিউ ধরে সৌদি দূতাবাসের পূর্বপাশ ঘেঁষে একটি শাখা সড়ক পূর্ব দিকে চলে গেছে। একটু বৃষ্টিতেই দূতাবাসের দেয়ালের পাশে নিচু জায়গায় জমে যায় পানি। গতকাল সোমবার দেখা যায়, ঝাঁকে ঝাঁকে মশা সেই পানির ওপর বসে আছে। কিছুক্ষণ পরপর মশার ঝাঁক ভনভন করছে। এলাকার বেশির ভাগ স্থানেই এমন মশার জ্বালাতন।

বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পশ্চিম পদরদিয়া, সাতারকুল ও উত্তর বাড্ডা মিলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। পুরো এলাকাটিই অপরিকল্পিত। ঘিঞ্জি, অপ্রশস্ত সড়কে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে যেখানে সেখানে। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। কিছুটা নিচু এলাকা হওয়ায় সহজে পানি সরে না। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমও দুর্বল। মশা উৎপাদনের সব অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এ ওয়ার্ডে।


জরিপ চালিয়ে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকার প্রমাণ পায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম ওয়াসিমুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁর ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব বেশি– এ তথ্য ঠিক নয়।

অবশ্য এ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক ফারজানা সোহেলী বলেন, মশার ঘনত্ব এখানে বেশি কিনা, জানি না। তবে ওয়ার্ডটি অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। এলাকাবাসীর মধ্যে জনসচেতনতাও কম।

আমার অধীনে ৫৫ পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। এটি প্রয়োজনের তুলনায় কম। আর এলাকাটি পরিকল্পিতভাবে গড়ে না ওঠায় ওখানে সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেশ দুঃসাধ্য।

এলাকার পান-সিগারেট বিক্রেতা আতর হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে দিনের বেলায় কয়েল জ্বালিয়ে মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচার চেষ্টা করি। সিটি করপোরেশনের লোকজন মাঝেমধ্যে এলেও তারা শুকনো রাস্তাটুকু ঝাড়ু দিয়ে চলে যায়। মশার ওষুধ ছিটানোর লোকজন ঠিকমতো যায় না।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ওয়ার্ডটির প্রাণকেন্দ্র উত্তর বাড্ডা বাজার এলাকার চারপাশেই ময়লা-আবর্জনা। ভাঙাচোরা রাস্তা ও নিচু এলাকায় পানি জমে আছে। এসব এলাকায়ও মশা-মাছি ভনভন করছে।

১০ নম্বর দক্ষিণ নয়ানগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এখানে ময়লা নিতে আসে না। টাকা দিয়ে ময়লা সরানো লাগে। আর ময়লা থাকার কারণে মশা আরও বেশি হয়।

পাশের মিম ইলেকট্রনিকসের মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে। এ জন্য মশা থেকে আমাদের মুক্তি নেই। সিটি করপোরেশনের লোকজনকে খুব একটা দেখা যায় না। এ রকম হলে কি মশা থেকে রেহাই মেলে? সব সময় মশা ওড়াউড়ি করে।

ওয়ার্ডটির পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান জানান, তিনি যথাসাধ্য তাঁর লোকজন দিয়ে কাজ করছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু তাঁর বলার নেই।

এ ব্যাপারে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার মশক নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এখনও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রাজধানীতে অনেক কম। ঢাকার চেয়ে এবার বাইরের রোগী বেশি।

-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@ProthomDesh24.com

বাংলাদেশ বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

সম্পাদক
সৈয়দ মোমেনুজ্জামান

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইব্রাহিম শরীফ মুন্না

বার্তা সম্পাদক
মাহবুব আলম সৈকত

ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
Email: news@prothomdesh24.com

©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || প্রথম দেশ

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd