“সব কথা সব জায়গায় বলা যায় না। কিন্তু সব কথা মনে রাখতে হয়।”—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে এই কথাগুলোই বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার।
শনিবার টরন্টোর বাংলাদেশ সেন্টারে বিএনপি কানাডা পশ্চিম শাখার উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ স্মৃতিচারণ করেন।
সভায় ডা. ডোনার বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবসময় এমন লোক বেছে নিতেন, যাদের দিয়ে দেশের জন্য কাজ করানো সম্ভব। আমার বাবার কথাই ধরা যাক। একাত্তরে তিনি পাকিস্তানের জিন্না হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন। যুদ্ধের পর লিবিয়ায় চলে যান। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন।”
তিনি বলেন, “কিন্তু সে প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হচ্ছিল। এক সভায় বাবা সেই দুর্নীতি নিয়ে কথা তুললে প্রেসিডেন্ট তাঁকে থামিয়ে দেন, এমনকি ধমকও দেন। সেদিন রাতে বাবা খুব কষ্ট পান, চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তও নেন। ঠিক তখনই প্রেসিডেন্টের পিএস-এর ফোন—পরদিন সাক্ষাতের ডাক। দেখা করে বাবাকে জিয়া বলেছিলেন, ‘সব কথা সবার সামনে বলা ঠিক নয়। আমাকে আগে জানালে আরও ভালো হতো।’ বাবা বলেছিলেন, ‘আপনাকে তো পাওয়া যায় না!’ এরপর তিনি দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিটিকে সরিয়ে দেন—শুধু সরিয়ে দেন না, যথাযথ পদক্ষেপও নেন।”
ডা. ডোনার বলেন, “জিয়াউর রহমান যদি সৎ না হতেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। এটা করতে গেলে সততা ছাড়া উপায় নেই। আমি সেদিন বুঝেছি—নেতা হওয়ার জন্য শুধু অবস্থান নয়, মনটাও সোজা থাকতে হয়।”
অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। উপস্থিত নেতারা বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অন্যতম বাস্তববাদী এবং কর্মঠ রাষ্ট্রনায়ক।”
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
ইব্রাহিম শরীফ মুন্না
বার্তা সম্পাদক
মাহবুব আলম সৈকত
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
Email: news@prothomdesh24.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || প্রথম দেশ
Develop by _ DigitalSolutions.Ltd